নগরীর বন্দর থানাধীন হালিশহর আনন্দবাজার এলাকা থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭ এর একটি দল। এসময় অভিযুক্ত মো. ফয়সালকে (১৯) আটক করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল রাউজানে নিজ বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে অপহৃত হয় সে।
১৫ মে, সোমবার র্যাবের পক্ষে পাঠানো গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, ওই শিক্ষার্থী তার মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে থাকাকালিন সময়ে ফয়সালের সাথে তার পরিচয় হয়। সে সুযোগে ফয়সাল ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উক্তত্য করত এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে ফয়সাল কৌশলে শিক্ষার্থীর দাদীর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে গত ২৪ এপ্রিল (২০২৩ ইং) তারিখে আনুমানিক সন্ধ্য ৬টার দিকে ওই শিক্ষার্থী পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসিপত্র ক্রয়ের জন্য তার বাড়ির পাশের একটি দোকনে গেলে সেখানে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা ফয়সাল এবং অন্যান্য সহযোগীরা তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অজ্ঞাতনামা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
র্যাব আরও জানায়, উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে ইজিবাইক চালক মো. ফয়সালকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং- ১১ তারিখ ১৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ৭/৩০।) এবং ভিকটিমকে উদ্ধার ও জড়িত আসামিকে গ্রেফতারে জন্য মামলার বাদী র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে , অপহরণকারী চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি অসৎ উদ্দেশ্যে বাদীর অপ্রাপ্ত বয়স্ক বোনকে অপহরণ করে আত্মগোপন করেছিল বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতার মো. ফয়সালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
সিএস