
জাহাজ কাটা শিল্প বাঁচাতে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন জাপানীজ শিপ ওনার্স এসোসিয়েশনের (জেএসএ) ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ শীপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ)।
২০ মে,শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসবিআরএ এর প্রেসিডেন্ট মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানীজ শিপ ওনার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেইজি টমোডা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএমএস’র কী নোট স্পিকার ড. অনিল এফ. শর্মা, এনওয়াইকে লাইনের জেনারেল ম্যানেজার ও জাপানীজ শিপ রিসাইক্লিং কমিটির সদস্য টাকুয়া কইজুমি, এনএস ইউনাইটেড কাইয়ুন কাইসা ও জাপানীজ রিসাইক্লিং কমিটির বিকল্প সদস্য হিরোকি তানাকা, ক্লাস এনকের ম্যানেজার টাকেশি নারোসি, এমএলআইটির পরিচালক ড. মাসানোরি যুসিদা, এনওয়াইকে লাইনের ম্যানেজার জিগামি নবয়ুকি, কেএর এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কুদু ইয়াসুশি, জেএসএ ডেপুটি ম্যানেজার ইয়ামাগামি হিরোয়ুকি, এনকে ক্লাস টিএলডি তানিগুচি রাইয়ুয়া, ইন কর্পোরেশন জেএনএস অতসুকি সুমিয়ুকি,এমওএল এর তাকাহাসি নবয়ুকি ও আকিয়ামা নাইয়ুকি।
বক্তব্য রাখেন বিএসবিআরএ কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য শওকত আলী চৌধুরী, বিএসবিআরএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জহিরুল ইসলাম রিংকু।
শনিবার সকালে সীতাকুণ্ডের ‘ট্রিটমেন্ট স্টোরেজ এন্ড ডিসপোজেল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ)’ সাইট ও দেশের প্রথম গ্রীন শিপ ইয়ার্ড পিএইচপি শিপ রিসাইক্লার্স ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন জাপানীজ প্রতিনিধি দল।
একই সময়ে ভাটিয়ারী বানু বাজার বিএসবিআরএ এর কার্যালয়ের সামনে জাহাজ পুণ:প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে ‘লাল’ শ্রেণিভুক্ত থেকে কমলা শ্রেণিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানববন্ধন করেছেন জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না দেওয়ার কারণে অনেকগুলো জাহাজ কাটিং কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না মালিকরা। এতে শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন। তাদের দিকে তাকিয়ে হলেও পরিবেশ অধিদফরের জটিলতা দ্রুত সমাধান করে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে গতিশীল করতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে ইয়ার্ড মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবেন-কর্মহীন হয়ে পড়বেন শ্রমিকরা।
জাউসা/সিএস