
পোশাক শিল্পের রপ্তানি অগ্রযাত্রায় সবসময় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
১৬ মে, মঙ্গলবার সকালে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ নবনিযুক্ত বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষিতে রপ্তানি আদেশ স্বল্পতা সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত তৈরী পোশাক শিল্প কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকার সহ সকলের সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি পোশাক
শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বে-টার্মিনাল এর কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা সহ পর্যাপ্ত হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিগত করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে অব্যাহত সেবা প্রদানের জন্য তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে সচেষ্ট থাকবে। তিনি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা সমূহ দ্রুত বাস্তবায়নে বিজিএমইএ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি জনাব রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক জনাব এ.এম. শফিউল করিম (খোকন) ও জনাব এম. এহসানুল হক।
এসইউ/