
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট প্রত্যাহার করে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এর ফলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজগুলো মূল জেটিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল বন্দরের কার্যক্রম।
১৫ মে, সোমবার ভোরে কর্ণফুলী নদীর প্রথম জোয়ারে বহির্নোঙর থেকে জাহাজগুলো একে একে মূল জেটিতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়।
জানা গেছে, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত কনটেইনার জাহাজ আটটি, জেনারেল কার্গোবাহি জাহাজ ছয়টি ও অয়েল ট্যাংকার ২টিসহ মোট ষোলটি জাহাজ বিভিন্ন জেটিতে আনা হয়েছে। বন্দরের পাইলট ভ্যাসেল ‘দিশারি ২’, টাগবোট কাণ্ডারী ১, ২, ৪, ৬, ৭ ও ১১ এ কাজে সহায়তা করে। প্রথমে জেটির জাহাজগুলো আসার পর বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস (লাইটারিং) শুরু হয়।
শিপ মুভমেন্ট চলাকালীন এই কাজে ১০টি টাগবোট, ৩টি পাইলট ভেসেল ও ৬টি মুরিং লঞ্চ বন্দরের হারবার মাস্টার কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে শিপ মুভমেন্ট মনিটরিং করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এর প্রেক্ষিতে বন্দর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (১৫ মে) ভোরের জোয়ার থেকে জেটিতে জাহাজ আনা, হ্যান্ডলিং, লাইটারিং, ডেলিভারিসহ সব সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিএস