পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অবশেষ গ্রেফতার হলো সেই মো. ইদ্রিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।
২৪ মে, বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর জনসংযোগ কর্মকর্তা নুরুল আবছার।
র্যাব জানায়, বিদেশ ফেরত দিদারুল আলম দেশে ব্যবসা করতো। আর্থিক সংকটের কারণে বিভিন্নজন থেকে টাকা ধার করেন। ব্যবসায় লোকসানের কারণে সেই পাওনা টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসেন। পরে একদিন গ্রামে গেলে পাওনাদার ইদ্রিস ও ইউনুচ তাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং টাকা দিতে না পারলে কেন আত্মহত্যা করে না সেটা জানতে চায়। দিদারুল আলম পাওনাদারদের এ মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে একপর্যায়ে দেনাদার ইদ্রিসের বাড়িতে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার পর নিহতের ছেলে কাজী মিনারুল আলম বাদী হয়ে রাউজান থানায় ৪ জনকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করলে আসামিরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
নুরুল আবছার বলেন, পাওনাদারের বাড়িতে দেনাদারের আত্মহত্যার ঘটনাটি সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে র্যাব-৭।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জনতে পারে আসামি ইদ্রিস কর্ণফুলী থানার আলতি নগর এলাকায় অবস্থান করছে। পরে ২৩ মে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে সেখান তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসইউ/সিএস