27.9 C
Chittagong
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রচ্ছদঅপরাধ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৯ বছর পর গ্রেফতার!

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৯ বছর পর গ্রেফতার!

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর ডবলমুরিং এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন হত্যা মামলায় দশ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মনিরকে (৩০) কে নয় বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি দল।

ফরিদকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার পর ছিনতাইকারীদের পালিয়ে যেতে মনির তার অটোরিকশা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

১৬ মে, মঙ্গলবার র‌্যাবের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল ১৫ মে, সোমবার হালিশহর থানাধিন নয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়  দীর্ঘ ৯ বছর সে বিভিন্ন এলাকায় আত্নগোপন করেছিল। মনির কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফইয়াবাড়ির মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র।

২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর অক্সিজেন এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে আগ্রাবাদ সিএন্ডবি কলোনি এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন। এ সময় কতিপয় ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে মালামাল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন পুলিশ সদস্য ফরিদ। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য ফরিদকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার তৎকালীন এসআই আমিনুল হক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ডাবলমুরিং থানা পুলিশ কর্তৃক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে মো. নাছির ও মো. রাজিব নামে দুজন আসামি মামলা তদন্তের সময় মারা যান।বাকি চার জনের মধ্যে অটোরিকশা চালক মনির পালিয়ে যান।

র‌্যাব জানায়, পরবর্তীতে বাকি চারজনকে আসামি করে গত ১৭ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্য শুরু করার জন্য আদেশ দেন।

পরে চলতি বছর ৭ মে তারিখ বিজ্ঞ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামি মো. বাবুদ দুলাল, অর্জুন দে এবং মো. মনিরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত পলাতক আসামি জসিম উদ্দিন রাজু, মো. মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দেসহ ‍তিন জনকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

অপরদিকে অটোরকিকশা চালক মনিরকে ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

র‌্যাব জানায়, নয়াবাজার থেকে মো. মনিরকে গ্রেফতারের পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এবং উক্ত মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে।

তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

এসইউ/সিএস

সর্বশেষ