
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের ছাদে করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় হেলে পড়া গাছের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আহত হওয়ার জেরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন ভাংচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই দুই মামলায় সাতজন করে চৌদ্দজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪শ থেকে ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনের বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষে হাটহাজারী থানায় দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
যদিও শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে তিনটি মামলা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে একদিন পর জানা গেলো মামলা হয়েছে দুইটি।
মামলার বিষয়ে জানতে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। আমি অসুস্থ। পরে এ ব্যাপারে কথা বলবো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, দুটি মামলা হয়েছে। তবে কতজনকে আসামি করা হয়েছে বিষয়টি আমি এখনো নিশ্চিত করতে পারছি না।
সিএস