
চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সেনানিবাস মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্মার্ট ও নান্দনিক চট্টগ্রাম বিনির্মাণে ধারণা উপস্থাপন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সভায় ডিসি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বিনির্মাণে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ভূমিকা এবং জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনা করেন।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের তিনটি মূলনীতি-ক্যাসলেস, পেপারলেস, প্রেজেন্সলেস ব্যবস্থা এবং চারটি পিলার, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকনমি বিষয়ে রূপকল্প -২০৪১ অর্জনে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, ব্লক চেইন, ন্যানো প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করেন। স্মার্ট সরকারি সেবা, স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা, স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট শিক্ষা ও পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়েও ধারণা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামেই প্রথম স্মার্ট আশ্রয়ণ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে পটিয়া উপজেলায় হাইদগাঁও আশ্রয়ণকে নির্বাচন করে সোলার প্যানেল, ট্যাপড ওয়াটার, পুকুর খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শতভাগ স্যানিটেশনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতার আয়োজন, সকল বিদ্যালয়ে রোবটিক্স ক্লাব গঠন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন, প্রাপ্ত আইডিয়া ও প্রকল্পসমূহ নিয়ে স্মার্ট চট্টগ্রাম শোকেসিং ও উৎসব আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কর্মকর্তাদের ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও আইটিবেসড পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেন। কারণ তাদের হাত ধরেই বাস্তবিক পক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
সভার প্রধান অতিথি ছিলেন ৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয় মূলত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ-কেন্দ্র স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল দপ্তরের সঙ্গে কাজ করবে বলে।
এ সময় চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি জেলা প্রশাসককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
এসইউ