
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, অর্থনৈতিক বিবেচনায় সারা দেশের জন্য ইতিবাচক রামগড় স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর চালু হলে পণ্য আমদানি–রফতানিতে সময় কম লাগবে। রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে মীরসরাই-ফটিকছড়ি সহ উত্তর চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১। যা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে রামগড়কে সংযুক্ত করেছে।
২৩ মে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের তথা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরের মত সুফল কাজে লাগাতে রামগড় অধিক ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে মীরসরাই-ফটিকছড়ি সহ উত্তর চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তাছাড়া বন্দর চালু হলে রামগড় থেকে ভারতের ওপর দিয়ে সিলেটের মাধবপুর পর্যন্ত নরসিংদী-মৌলভীবাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটে যাতায়াতের সুবিধা পাবে চট্টগ্রামবাসী।
পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা ভবিষ্যতে চট্টগ্রামকে আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আগামীকাল (২৪ মে) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বারৈয়ারহাট-হেয়াঁকো রামগড় সড়কের প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণের কাজ। যা রামগড় স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে।
এ প্রকল্পে থাকবে ২৪৯.২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯টি ব্রীজ ও ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি সেতু। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া সড়ক নির্মিত হলে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি থেকে বিভিন্ন পন্য রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে আরও সময় কম লাগবে।
সিএস